সহজ লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? সহজ লোন কিভাবে পাওয়া যাবে তা খুঁজছেন? তাহলে আজকের এই আর্টিকেল শুধুমাত্র আপনার জন্য। কারণ আজকের আর্টিকেলে কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে আপনি ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তাই ব্যাংক থেকে সহজে নিতে হলে আজকের আর্টিকেল মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য আমাদের ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে হয়। বর্তমান সময় আপনি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করতে পারবেন। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার একটু জটিল। বিভিন্ন কাগজপত্র জমা দেওয়া ও ঋণ উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে গিয়ে ঘোরাঘুরি করা। এরকম আরো বিভিন্ন ঝামেলা আপনাকে পোহাতে হবে।
তাই আমরা সবাই সহজে কিভাবে লোন পাওয়া যাবে,সেটা জানতে চাই। সত্যিকার অর্থে আমাদের দেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে আপনি কোন জামানত ছাড়াই সহজ পদ্ধতিতে ঋণ নিতে পারবেন। তবে সেই ব্যাংকগুলো সম্পর্কে আপনাকে জেনে নিতে হবে। চলুন দেরি না করে সহজ লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেই।
সহজ লোন বাংলাদেশ ২০২৩
পারিবারিক অথবা ব্যবসায় কারণে আমরা অনেকেই ব্যাংক থেকে লোন নিতে চাই। তবে দেখা যায় ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়া আপনাকে সম্পূর্ন করতে হয়। এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পূর্ণ করতেই বেশ কয়েক মাস চলে যায়।
এছাড়া আমাদের দেশে এমন অনেক ব্যাংক রয়েছে। যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক শর্ত পূরণ ও জামানত জমা দিতে হবে। দেখা যায় নতুন একজন উদ্যোক্তার এ সকল শর্ত পূরণ ও জামানত জমা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ কারণে অনেক উদ্যোক্তা তাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পারে না।
তবে আজকের আর্টিকেলে আমরা এমন দুটি ব্যাংক সম্পর্কে আলোচনা করবো। এই দুটি ব্যাংক থেকে সকল নতুন উদ্যোক্তারা ঋণ নিতে পারবে। তাই দেরি না করে আমরা সহজ লোন বাংলাদেশ ২০২৩ সম্পর্কে আরো তথ্য দেখে নেই।
সহজ লোন বাংলাদেশ প্রদান করে নিম্নের ব্যাংকগুলো।
- ব্রাক ব্যাংক
- গ্রামীণ ব্যাংক
- ইসলামিক ব্যাংক
ব্রাক ব্যাংক সহজ লোন বাংলাদেশ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় একটি বেসরকারি ব্যাংক হল ব্রাক ব্যাংক। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যাংক জনক কল্যাণমূলক কাজ করে আসছে। নিজের ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক সকল কাজের জন্যই ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন। এছাড়াও সব থেকে মজার বিষয় হল, প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র জমা দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আপনি এই ব্যাংক থেকে ঋণের টাকা হাতে পাবেন।
তাই আপনি যদি সহজ লোন নিতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে ব্রাক ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করতে হবে। আমাদের দেশের প্রায় প্রত্যেক উপজেলায় ও ইউনিয়ন পরিষদের ব্রাক ব্যাংক শাখা রয়েছে। এ কারণে আপনিও আপনার নিকটস্থ ব্রাক ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করুন।
তবে যোগাযোগ করার আগে আপনাকে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র ও শর্ত মেনে চলতে হবে। আপনি যদি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও তাদের শর্ত মেনে চলতে পারেন। তাহলে আপনি ঋণ পাওয়ার যোগ্য হবেন। ব্রাক ব্যাংক সহজ লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র জমা দিতে হবে তা জেনে নেই।
- সর্বপ্রথম আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ২৫ বছর থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে থাকতে হবে।
- মাসিক আয় সর্বনিম্ন ২৫ হাজার টাকা।
- ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- ভোটার আইডি কার্ডের কপি
- চারিত্রিক সনদপত্র
- ইউটিলিটি বিলের কপি
- গ্যারান্টরের ২ কপি ছবি
- গ্যারান্টরের NID কার্ডের কপি
উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো ছাড়াও যদি অন্যান্য কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানিয়ে দেবে। তাই আপনি যদি ব্রাক ব্যাংক থেকে খুব সহজেই ঋণ নিতে চান। তাহলে উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে, আপনার নিকটস্থ ব্রাক ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করতে পারেন।
গ্রামীণ ব্যাংক সহজ লোন বাংলাদেশ
আমাদের দেশের প্রধান ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান হল গ্রামীণ ব্যাংক। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে জামানত বিহীন আপনি সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারবেন প্রথম অবস্থাতে। তাই আপনিও যদি নতুন ব্যবসা বা নতুন বাড়ির নির্মাণ করতে চান। তাহলে অবশ্যই গ্রামীণ ব্যাংক সহজ লোন উত্তোলন করবেন।
গ্রামীণ ব্যাংকে অনেক ক্যাটাগরিতে ঋণ প্রদান করা হয়। তবে আপনার ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক সকল কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য গ্রামীণ ব্যাংক থেকে পার্সোনাল উত্তোলন করতে পারেন। এই ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করতে হলে আপনাকে বেশি ব্যাংক কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোরাঘুরি করতে হবে না।
মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই আপনার ঋণ পাশ হয়ে যাবে। তাই আপনি যদি অল্প সময়ের মধ্যে সহজ লোন বাংলাদেশ খুঁজে থাকেন। তাহলে আপনার জন্য সবথেকে উপযুক্ত হবে গ্রামীণ ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ। তবে এ ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য অবশ্যই আপনাকে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
- আবেদনকারীকে অবশ্যই গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হতে হবে।
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি ও দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- নমনের এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি।
- আবেদনকারীর চারিত্রিক সনদপত্র ও বিদ্যুৎ বিলের ফটোকপি।
এছাড়াও আবেদনকারীকে বাংলাদেশের নাগরিক ও সর্বনিম্ন ২৫ বছর বয়সী হতে হবে। এরপরেও যদি কোন কাগজপত্র প্রয়োজন হয়। তাহলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।
শেষ কথা
আশা করি, সহজ লোন বাংলাদেশ সম্পর্কে আপনি সঠিক তথ্য পেয়েছেন। আপনাদের সামনে আজকে দুটি ব্যাংক থেকে কিভাবে ঋণ পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। উপরোক্ত দুটি ব্যাংক থেকে খুব সহজেই আপনি সহজ উপায়ে ঋণ নিতে পারবেন।
এছাড়াও সবথেকে মজার ব্যাপার হলো, উপরোক্ত দুটি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য কোন জমির দলিল অথবা কোন জামানত আপনাকে পেশ করতে হবে না। তাই আপনি যদি খুব সহজ লোন নিতে চান। তাহলে ব্র্যাক ব্যাংক অথবা গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় যোগাযোগ করুন। এছাড়াও সহজ লোন বাংলাদেশ পর্ব নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে। অবশ্যই কমেন্ট করতে পারেন।