কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি
কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি- বর্তমান সময় আপনি যদি মুরগি বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চান তাহলে,কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি এটা জানতে হবে। কারণ আপনি যদি প্রথম অবস্থায় খামার করে লাভবান না হন, তাহলে মুরগির খামার করার আগ্রহ আপনার কমে যাবে।
এছাড়াও আপনি অনেক পরিশ্রম করে মুরগির খামার তৈরি করলেন কিন্তু পরবর্তীতে গিয়ে লাভবান হতে পারলেন না। তাহলে এটা অনেক দুঃখজনক ঘটনা ঘটবে। এ কারণে আপনাকে কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি হয় তা জানতে হবে। তাই আজকে আমরা আপনাদের সামনে কোন মুরগি পালন করে বেশি টাকা লাভ হবে ও কোন জাতের মুরগি পালনে লাভ বেশি তা নিয়ে আলোচনা করবো।
কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি
আপনি যদি মুরগির খামার করতে চান তাহলে অবশ্যই দেশি মুরগির খামার করবেন। কারণ দেশি মুরগি পালন করলে আপনি বেশি লাভবান হতে পারবেন। দেশি মুরগি পালন করে লাভবান হওয়ার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে।
দেশি মুরগির খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে অন্যান্য মুরগির চেয়ে অনেক কম। দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সকল মুরগির থেকে অনেক বেশি। এছাড়াও বাজারে দেশের মধ্যে চাহিদা অনেক বেশি। আবার দেশি মুরগির বাচ্চার দাম ও খাদ্যের দাম অনেক কম।
এ কারণে সব থেকে দেশি মুরগি পালন করলে আপনি বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। এছাড়াও দেশি মুরগির বাচ্চা আপনি খুব সহজে সংগ্রহ করতে পারবেন। দেশি মুরগির জন্য খাবার প্রস্তুত আপনি নিজেই করতে পারবেন। দেশি মুরগির জন্য আপনাকে বাজারজাত খাদ্য কিনতে হবে না।
উপরোক্ত এই কয়েকটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে আমি বলব দেশের মুরগি পালন করলে বেশি লাভবান হতে পারবেন। বাংলাদেশে এমন অনেক খামার উদ্যোক্তা রয়েছে, যারা দেশী মুরগি পালন করে অনেক বেশি স্বাবলম্বী হয়েছে।
কোন জাতের মুরগি পালনে লাভ বেশি
মুরগি পালন করার আগে আপনাকে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আপনি যে জাতের মুরগি পালন করবেন তার বাজারে চাহিদা কি রকম। এছাড়া আপনি যে জাতের মুরগি পালন করতে চাচ্ছেন তার খাদ্য খরচ কত। এই দুটি বিষয়ে মাথায় রাখলে আপনি বুঝতে পারবেন কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি হয়।
আমরা সবাই জানি আমাদের দেশের দেশেই মুরগির চাহিদা অনেক বেশি। শীত থেকে গ্রীষ্ম,গ্রীষ্ম থেকে বর্ষা প্রায় ঋতুতে দেশি মুরগির চাহিদা অনেক বেশি থাকে। দেশি মুরগির খাদ্যের নাম অনেক কম। ইচ্ছা করলে আপনি নিজেই দেশি মুরগির খাবার তৈরি করতে পারেন।
মুরগির খামার করার জন্য আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যে জাতের মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেশি বেশি থাকে, সেই জাতের মুরগি পালন করার চেষ্টা করুন। আমাদের দেশের বিভিন্ন জাতের মুরগি রয়েছে। কিন্তু সব থেকে বেশি প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি মুরগির বেশি হয়ে থাকে।
মুরগি পালন করার সময় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অপরিহার্য একটি বিষয়। কারন আপনার মুরগির যদিও রোধ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকে তাহলে বেশি অসুস্থ হয়ে যেতে পারে,এমন সময় আসে যে মুরগি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনি যদি মুরগির খামার তৈরি করার পর সকল মুরগি অসুস্থ হতে থাকে। তাহলে আপনার খরচ তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি হবে।
এছাড়াও অসুস্থ হওয়ার পর একটি মুরগির প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়,তারপর সে মারা যেতে পারে। এজন্য যে সকল মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি সেই মুরগীর খামার করে তুলতে পারেন। দেশি মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্য জাতের মুরগির থেকে অনেক বেশি।
দেশি মুরগি পালন প্রশিক্ষণ
আপনি নিশ্চয়ই কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি হবে তা জানতে পেরেছেন। তাই দেশি মুরগি পালন পদ্ধতি সম্পর্কে আপনার জানা দরকার। দেশি মুরগি পালন করার আগে আপনাকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে হবে। কারণ দেশি মুরগি পালনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম কারণ রয়েছে।
বর্তমানে দেশি মুরগি পালন প্রশিক্ষণ উপজেলা পরিষদের প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রত্যেক উপজেলায় প্রাণীসম্পদ অফিস রয়েছে। এছাড়াও আপনার নিকটস্থ যদি যুব উন্নয়ন কেন্দ্র থাকে। তাহলে যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।
পরিশেষে কিছু কথা
আশা করি কোন মুরগি পালনে লাভ বেশি হয় এখন জানতে পেরেছেন। আপনি যদি নতুন অবস্থায় মুরগি পালন করতে চান,তাহলে অবশ্যই দেশি মুরগি দিয়ে শুরু করতে পারেন। কারণ দেশি মুরগি পালনে খরচ কম কিন্তু লাশ অনেক বেশি।
তাই কি নতুন অবস্থায় যদি মুরগির খামার শুরু করতে চান দেশে যাদের মুরগি দিয়ে শুরু করবেন। এছাড়া আপনি উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। কোন মুরগি পালনেরলাভ বেশি সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে ওয়েবসাইটে জানাতে পারেন।