বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ,বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট লিমিট,বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সুবিধা ও বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা সম্পর্কে আজকের পোস্টে আলোচনা করা হবে। তাই আপনি যদি বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে এটুজেট ধারণা পেতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনাকে আজকের এই পোস্ট খুবই মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনি বিকাশ মার্সেল অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করতে পারবেন।
আমরা সবাই জানি, বিকাশ বাংলাদেশের সব থেকে জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। বিকাশের মাধ্যমে সাধারণত আমরা টাকা লেনদেন করে থাকে। বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর অনেকগুলো একাউন্ট বা সেক্টর হয়েছে। অর্থাৎ বিকাশের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। যেমন বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট, বিকাশ এজেন্ট একাউন্ট ও বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট।
ঠিক তেমনিভাবে বর্তমান সময়ে ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সাধারণত একজন গ্রাহক ক বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে তার সমস্ত টাকা পে করতে পারবে ঘরে বসেই খুব সহজে। এই কারণে বর্তমান সময়ে সকল অনলাইন বা অফলাইন ব্যবসায়ীদের অবশ্যই বিকাশ মার্সেল অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। নতুন যে সকল ব্যবসায়ীরা বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে চায়, তাদের অন্যতম প্রধান প্রশ্ন হল বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত। শুধুমাত্র তাদের জন্য আজকে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ
আমরা যখন একটি বিকাশ পার্সোনাল একাউন্ট থেকে ক্যাশ আউট করি। তখন কিন্তু প্রতি ১০০০ টাকার জন্য ১৯ থেকে ২০ টাকা কেটে নেওয়া হয়। কিন্তু বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ অনেক কম। বিকাশ মার্চেন্ট ক্যাশ আউট চার্জ মাত্র ১.৭০%। অর্থাৎ প্রতি ১০০০ টাকায় আপনার ১৭ টাকা কেটে নেওয়া হবে।
তাহলে আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর সুযোগ সুবিধা বিকাশ পার্সোনাল একাউন্টের চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণে আপনি যদি একজন ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই একটি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলে নিতে পারেন।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ জানার পর, আপনার এখন ইচ্ছা করছে একটি মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে। বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলা একদমই সহজ। চলুন দেখে নেই, বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার নিয়ম কানুন সমূহ কি কি।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- ভোটার আইডি কার্ড
- দোকানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স
- টিন সার্টিফিকেট
- আপনার দোকানের ঠিকানা
- ফোন নম্বর
উপরোক্ত কাগজপত্র গুলো সংগ্রহ করে আপনি কিভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবেন। প্রথমত আপনি সরাসরি বিকাশ কাস্টমার কেয়ার অফিসে গিয়ে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন। দ্বিতীয়ত বিকাশ অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে একাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।
যেহেতু বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অ্যাকাউন্ট। এই জন্য আপনি সরাসরি কাস্টমার কেয়ার অফিসে গিয়ে একটি একাউন্ট তৈরি করে নিন। কারণ প্রথম অবস্থায় আপনি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে লেনদেন করতে বিভিন্ন জায়গায় সমস্যায় পড়তে পারেন। এ কারণে আপনি যখন কাস্টমার কেয়ার অফিসে গিয়ে একটি মার্চেন্ট একাউন্ট তৈরি করবেন। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধি আপনাকে লেনদেনের সকল বিষয় বুঝিয়ে দিবে।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট লিমিট
সফলভাবে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলার পর, কত টাকা লিমিট তা কিন্তু আমাদের সকলের জানা দরকার। প্রতি লেনদেনের জন্য বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট লিমিট ৩০ হাজার টাকা। অর্থাৎ আপনি সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টে লেনদেন করতে পারবেন।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট সুবিধা
বিকাশ পার্সোনাল একাউন্টের চেয়ে বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের সুযোগ সুবিধা অনেক বেশি। বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর মাধ্যমে যেকোন কাস্টমার ঘরে বসেই অনলাইনে কেনাকাটা করতে পারবে। এছাড়াও বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টের সবথেকে সুবিধা জনক দিক হলো ক্যাশ আউট চার্জ অনেক কম।
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট এর অসুবিধা
বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্টের যেমন সুবিধা রয়েছে, ঠিক তেমনিভাবে এর কিছু অসুবিধা ছিল ঠিক রয়েছে। অসুবিধার দিকগুলোর মধ্যে প্রথম হল আপনাকে শুধু পার্সোনাল বিকাশ একাউন্ট থেকেই নগদ মার্চেন্ট একাউন্টে লেনদেন করতে হবে। অর্থাৎ আপনি বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট থেকে মার্চেন্ট একাউন্টে টাকা লেনদেন করতে পারবেন না। এছাড়াও সর্বোচ্চ আপনি ৩০ হাজার টাকা লেনদেন করতে পারবেন।
শেষ কথা
আশা করি, বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ কত তা এখন বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং আপনার যদি একটি ছোট কিংবা বড় ব্যবসা থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনি একটি বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট খোলা নিতে পারেন। কারণ বিকাশ মার্চেন্ট একাউন্ট ক্যাশ আউট চার্জ অনেক কম। এর পাশাপাশি পাচ্ছেন বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা। তাই বন্ধুরা দেরি না করে আজকেই একটি বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন। একাউন্ট সংক্রান্ত যদি কোন সমস্যা হয়। তাহলে অবশ্যই আমাদের ব্লগে কমেন্ট করতে পারেন। আমরা আপনাদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।