জমি কেনার জন্য লোন ২০২৩
জমি কেনার জন্য লোন– একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের কাছে বাড়ি তৈরি করা একটি স্বপ্নের ব্যাপার। কারণ একটি বাড়ি তৈরি করার জন্য প্রথমে আপনাকে জমি কিনতে হবে, তারপর সেই জমির উপরে একটি বাড়ি তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশে অনেকদিন আগে থেকেই বাড়ি তৈরি করার জন্য লোন দেওয়া হয়। কিন্তু জমি কেনার জন্য লোন কোন ব্যাংক প্রাধান্য দিত না।
কিন্তু বর্তমান সময় আপনি জমি কেনার জন্য বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। আমাদের দেশে সিটি ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক থেকে আপনি জমি কেনার জন্য লোন ২০২২ নিতে পারবেন। চলুন এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করি।
জমি কেনার জন্য লোন
একজন সাধারণ মানুষের কাছে জমি কিনে বাড়ি তৈরি করা বিশাল একটি ব্যাপার। কারণ জমি কেনা থেকে শুরু করে বাড়ি তৈরি করা পর্যন্ত আপনার প্রায় কোটি টাকা লাগবে। একজন সাধারণ চাকরিজীবী মানুষের কাছে এক কোটি থাকা অসম্ভব। কারণ সাধারণ বেতনের চাকরি করে পরিবারের ভরণপোষণ করায় তার কাছে দুষ্কর।
এরকম সাধারন চাকরিজীবীদের কথা চিন্তা করে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক আপনাকে জমি কেনার জন্য লোন দিবে। কিন্তু লোন নেওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের শর্তগুলো মেনে চলতে হবে। আপনি যদি এই দুটি শর্ত মেনে চলতে পারেন তাহলে জমি কেনার জন্য সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা লোন নিতে পারবেন।
কারা জমি কেনার জন্য লোন পাবে
সরকারি চাকরিজীবী থেকে শুরু করে একজন ব্যবসায়ী জমি কেনার জন্য লোন নিতে পারবে। কিন্তু লোন আবেদনকারীর লোন পরিশোধ করার মতো অর্থ থাকতে হবে। এছাড়াও তার প্রতি মাসিক ইনকাম সর্বনিম্ন ৩৫ হাজার টাকা হতে হবে।
আপনি আরো পড়তে পারেনঃ
লোন নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
নিজের একটি বাড়ি তৈরি করা স্বপ্ন নয়। বর্তমানে আপনি বাড়ি তৈরি করা থেকে শুরু করে জমি কেনার জন্য লোন নিতে পারবেন। কিন্তু এ যেন আপনাকে ব্যাংক করতে পক্ষের কাছে প্রয়োজনীয় কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হবে। আসুন জমি কেনার জন্য লোন নেওয়ার জন্য কি কি কাগজপত্র লাগবে।
- ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি। অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
- ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স (ব্যবসায়ীদের জন্য)।
- অফিস থেকে প্রত্যয়ন পত্র (চাকরিজীবীদের জন্য)।
- গ্রান্টেড ব্যক্তির জাতীয় পরিচয় পত্র ও ছবি।
- এক মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ।
- বিগত ছয় মাসের ব্যাংকের হিসাবের নথি।
- যদি ক্রেডিট কার্ড থাকে তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক
জমি করার জন্য যে সকল ব্যাংক ঋণ প্রদান করছে তাদের মধ্যে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক অন্যতম। একজন গ্রাহক চায়না ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংক থেকে জমি ও বাড়ি কেনার জন্য লোন নিতে পারবে। শুধু নতুন বাড়ি কেনা নয়, চাইলে একজন গ্রাহক পুরাতন বাড়ি সংস্করণের জন্য ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবে। কিন্তু নেওয়ার জন্য আপনার একটি ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে একাউন্ট থাকতে হবে।
আপনার যদি ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকে একাউন্ট থাকে। তাহলে সরাসরি ব্যাংক শাখায় গিয়ে আবেদন করতে পারেন। আর যদি অ্যাকাউন্ট না থাকে তাহলে অতি দ্রুত একাউন্ট তৈরি করে নিন। আমাদের দেশের প্রত্যেক জেলায় ফাস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের শাখা রয়েছে।
সিটি ব্যাংক
বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মধ্যে সিটি ব্যাংক অন্যতম। বর্তমানে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে চমক কেনার জন্য লোন নিতে পারবেন। এছাড়াও যারা বাড়ি কেনার জন্য লোন নিতে চান তারাও সেটির ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবে। কিন্তু এজন্য আপনার উপুক্ত কাগজপত্রগুলো আগে সংগ্রহ করতে হবে। তারপর আপনাকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সাথে লোনের ব্যাপারে কথা বলতে হবে।
সিটি ব্যাংক থেকে বাড়ি কেনার জন্য আপনি সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা লোন নিতে পারবেন। কিন্তু এজন্য আপনার একটি সিটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে। সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিলে সুদের হার আপনি কম পাবেন। সিটি ব্যাংকের সুদের হার ৮.৫%। এছাড়া আপনি ছিরি ব্যাংক থেকে লোন নিলে বিভিন্ন রকমের সুযোগ সুবিধা পাবেন।
উপসংহার
এই ছিল আজকে জমি কেনার জন্য লোন ও বাড়ি কেনার জন্য লোন প্রক্রিয়া। বর্তমান সাধারণ মাধ্যমিক তোর কাছে বাড়ি তৈরি করা খুব কঠিন বিষয় না। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি ব্যাংক থেকে আপনি লোন নিয়ে বাড়ি তৈরি করতে পারবেন। আজকে আপনাদের সামনে ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ও সিটি ব্যাংক হাউজ লোন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
এছাড়াও আপনি বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক, ডাচ বাংলা ব্যাংক ওয়ান ব্যাংক থেকে বাড়ি তৈরি করার জন্য লোন নিতে পারেন। জমি কেনার জন্য লোন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে কমেন্ট করুন। এরকম আরো ব্যাংকিং বিষয় আপডেট পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের সঙ্গে থাকবেন।