একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি
একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি,একটি বাড়ি একটি খামার আবেদন ফরম,একটি বাড়ি একটি খামার সুদের হার,একটি বাড়ি একটি খামার নিবন্ধন,একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প কোন মন্ত্রনালয়ের অধীনে প্রিয় পাঠক আপনি যদি উপরের সব কয়টি বিষয় জানতে চান। তাহলে আজকের টিউটোরিয়াল মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
আজকে আপনাদের সামনে একটি বাড়ি একটি খামার লোন সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো। বর্তমানে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা খুব সহজেই এই খামার থেকে লোন নিতে পারবে। কিন্তু এজন্য আপনাকে কিছু নিয়ম নিতে মেনে চলতে হবে। চলুন একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি
নতুন যে সকল ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ব্যবসা করতে চায়। কিন্তু অর্থের অভাবে ব্যবসা করতে পারছে না। তাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার একটি সুযোগ করে দিয়েছে। বর্তমানে একজন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা চাইলে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে লোন নিতে পারবেন। বর্তমানে এই প্রকল্পের নাম আমার বাড়ি আমার খামার।
যে সকল তরুণ সর্বদা চাকরির পিছনে ছুটে হতাশায় ভুগছেন,তাদের জন্য দারুন একটি সুযোগ এটি। কারণ আপনি যদি চাকরি পেছনে না ছুটে একটা নতুন ব্যবসার শুরু করেন। তাহলে এটি আপনার জন্য অনেক বেশি ভালো হবে। আপনি যদি একজন সফল উদ্যোক্তা হয়ে যান। তাহলে আপনি আরো অনেক মানুষকে চাকরি দিতে পারবেন। এই কারণে আপনি চাইলে উদ্যোক্তা অথবা ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
কিন্তু নতুন অবস্থায় ব্যবসা শুরু করতে চাইলে আমাদের অনেক টাকা পুঁজি দরকার। কিন্তু একজন সাধারণ মধ্যবিত্ত মানুষের কাছে ব্যবসা শুরু করার মত টাকা থাকে না। তাই তারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করে। কিন্তু আপনি যদি ব্যাংক থেকে ব্যবসা করার জন্য লোন নিতে চান,তাহলে সুদের হার অনেক বেশি হবে।
কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে আপনি কম সুদে লোন নিতে পারবেন। এছাড়াও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য নির্ধারণ একটি সুযোগ করে দিচ্ছে এই খামার প্রকল্প। আসুন একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
আপনি আরো পড়তে পারেনঃ
একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি ২০২২
আমাদের দেশের প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে যে সকল মানুষ ক্ষুদ্র ব্যবসা শুরু করতে চাচ্ছেন, তাদের জন্য সুযোগ দিচ্ছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প। এই প্রকল্প থেকে আপনি সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা প্রথম পর্যায়ে লোন নিতে পারেন।
এই প্রকল্প থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কোন ঘুষ প্রদান করতে হবে না। এছাড়াও তেমন কোন ডকুমেন্টও জমা দিতে হয় না। একটি বাড়ি একটি খামার থেকে লোন নিয়ে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। কারণ এই খামার থেকে লোন আপনি অনেকগুলো সুবিধা পাবেন। আমাদের দেশের এমন অনেক মহিলা উদ্যোক্তারা আছে,যারা এই লোন নিয়ে অনেক বেশি উপকৃত হচ্ছে।
আপনি যদি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে লোন নিতে চান, তাহলে আপনাকে সরাসরি উপজেলা অবশ্যই যোগাযোগ করতে হবে। উপজেলা অফিসে একটি বাড়ি একটি খামার লোন কর্মকর্তা রয়েছে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিয়ে,আপনি লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। উপজেলা পরিষদ ছাড়া আপনি অন্য কোথাও যোগাযোগ করবেন না। আমাদের দেশে প্রত্যেক উপজেলায় আমার বাড়ি আমার খামার লোন প্রকল্প চালু আছে।
একটি বাড়ি একটি খামার লোন নেওয়ার শর্ত
- অবশ্যই আবেদনকারীকে বাংলাদেশের সচেতন নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারী প্রথম পর্যায়ের সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা লোন নিতে পারবে।
- আপনার ভোটার আইডি কার্ড/পাসপোর্ট/ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে।
- লোন নেওয়ার পর তিন মাসের হতে কিস্তি প্রদান করতে হবে।
- সাপ্তাহিক কিংবা মাসিক কিস্তি প্রদান করতে পারবেন।
- সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মধ্যে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে হবে।
উপরোক্ত এই কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে পারলে আপনি একটি বাড়ি একটি খামার থেকে লোন নিতে পারবেন। বর্তমানে আপনি অনলাইনে এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। কিন্তু সব থেকে ভালো হয় আপনি উপজেলায় একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পে গিয়ে আবেদন করা।
একটি বাড়ি একটি খামার আবেদন ফরম
আপনি যখন একটি বাড়ি একটি খামার থেকে লোন নিতে চাইবেন। তখন আপনাকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার আবেদন ফরমে আপনার যাবতীয় তথ্য তুলে ধরতে হবে। আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা। আপনার পিতা মাতার নাম। আপনি কি পেশায় নিয়োজিত আছেন ও মাসিক আয় কত ইত্যাদি।
একটি বাড়ি একটি খামার আবেদন ফরম:- সংগ্রহ করে নিন
একটি বাড়ি একটি খামার সুদের হার
আপনি বাংলাদেশের যেকোন ব্যাংক থেকে লোন নেন না কেন। আপনাকে অবশ্যই সেই ব্যাংকে লাভ দিতে হবে। আপনি যদি একটি বাড়ি একটি খামার লোন নিতে চান। তাহলে আপনাকে এই ব্যাংকে সুদ প্রদান করতে হবে। একটি বাড়ি একটি খামার সুদের হার ৮ শতাংশ। পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক ও একটি বাড়ি একটি খামার একই প্রকল্প।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প কোন মন্ত্রনালয়ের অধীনে
বাংলাদেশের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটু বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। একজন উদ্যোক্তা চাইলে জামানতবিহীন একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে লোন নিতে পারবে। অনেকেই প্রশ্ন করে,একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প কোন মন্ত্রণালয়ের অধীনে। মূলত একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনে।
আপনার জন্য আরো লেখাঃ
একটি বাড়ি একটি খামার এর বর্তমান নাম
বর্তমানে একটি বাড়ি একটি খামার এর নাম আমার বাড়ি আমার খামার। বাংলাদেশের সকল ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সুবিধার জন্য ২০০৯ সালে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প চালু করা হয়। বর্তমানে আমার বাড়ি আমার খামার প্রকল্প থেকে লোন নিয়ে অনেক উদ্যোক্তা সফল হচ্ছে।
একটি বাড়ি একটি খামার এর সুবিধা
আপনি যদি একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে লোন নিতে চান। তাহলে বিভিন্ন রকম সুবিধা পাচ্ছে না। যে সুবিধাগুলো আপনি বাংলাদেশের অন্য কোন ব্যাংকে খুঁজে পাবেন না। একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প থেকে আপনি খুব সহজে লোন নিতে পারবেন।
এছাড়া লোনের টাকা আপনি সর্বোচ্চ দেড় বছরের মধ্যে পরিশোধ করতে পারবেন। আপনি চাইলে সাপ্তাহিক বা মাসিক কিস্তি প্রদান করতে পারেন। এছাড়াও আপনি লোন নেওয়ার তিন মাস হতে কিস্তি প্রদান করতে পারবেন। আপনি চাইলে প্রথম এক সপ্তাহ/মাস থেকে কিস্তি দিতে পারেন।
অনেক ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য আমাদের ঘুষ প্রদান করতে হয়। কিন্তু একটি বাড়ি একটি খামার পূরণ নেওয়ার জন্য কোন প্রকার ঘুষ দিতে হবে না। আপনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করার লোন নিতে পারেন। এছাড়াও একটি বাড়ি একটি খামার সুদের হার ৮%।
উপসংহার
এই ছিল আমাদের একটি বাড়ি একটি খামার লোন পদ্ধতি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আজকের আলোচনায় আমরা আমার বাড়ি আমার খামার লোন সম্পর্কে এ টু জেড ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়াও আপনি যদি এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান। তাহলে অবশ্যই আপনার নিজস্ব উপজেলা যোগাযোগ করতে পারেন।