অনলাইন লোন বাংলাদেশ ২০২৩
অনলাইন লোন বাংলাদেশ– আমাদের জীবনের তাগিদের বিভিন্ন সময় ব্যাংক থেকে লোন দিতে হয়। ব্যক্তিগত কিংবা ব্যবসায়িক কারণে আমরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকি। কিন্তু বর্তমানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইন লোন বাংলাদেশ এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ঘরে বসে যে লোন নেওয়া হয় তাকে অনলাইন লোন বলা হয়। অনলাইনের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে যেকোন লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু আপনাকে অনলাইনে বাংলাদেশ সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে হবে। চলুন জেনে নেই, অনলাইন লোন বাংলাদেশ ২০২৩ ও অনলাইন থেকে লোন নেওয়ার উপায় সমূহ।
.jpg "অনলাইন লোন বাংলাদেশ")
অনলাইন লোন বাংলাদেশ
বর্তমানে আপনি বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংক থেকে অনলাইন লোনের জন্য আবেদন করতে পারেন। অনেকেই হয়তো ভাবছেন বাংলাদেশে অনলাইন লোন অ্যাপ চালু করা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে অনলাইন লোন অ্যাপ আমাদের দেশে চালু করা হয়নি।
কিন্তু আপনাদের সামনে এমন একটি অ্যাপ শেয়ার করব। যে অ্যাপের মাধ্যমে আপনি অনলাইন থেকে লোন নিতে পারবেন। এই অ্যাপ হলো বিকাশ। আপনি বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লোন নিতে পারবেন। বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কোন ব্যাংকে যোগাযোগ করতে হবে না। ঘরে বসেই এই লোন পেয়ে যাবেন। অনলাইন লোন বাংলাদেশ বিকাশ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
অনলাইন লোন বাংলাদেশ বিকাশ
বাংলাদেশের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মধ্যে প্রথম অবস্থায় রয়েছে বিকাশ। বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আমরা টাকা আদান প্রদান করে থাকি। কিন্তু বর্তমানে অনলাইন লোন বাংলাদেশ এর মধ্যে বিকাশ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কারন আপনি চাইলে বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন নিতে পারবেন।
বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সিটি ব্যাংক থেকে লোন নিতে পারবেন। কিন্তু এজন্য আপনাকে কয়েকটি শর্ত পূরণ করতে হবে। আপনার একটি সচল বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। অবশ্যই বিকাশ মোবাইল এপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হবে। এই কয়েকটি শর্ত মানতে পারলে আপনি বিকাশ থেকে লোন নিতে পারবেন।
অনলাইন লোন বাংলাদেশ নেওয়ার নিয়ম
অনলাইন লোন বাংলাদেশ এর মধ্যে সবথেকে সহজ বিকাশ লোন। কারণ বিকাশ লোন নেওয়ার জন্য আপনাকে কোন এজেন্ট শাখায় ঘোরাঘুরি করতে হবে না। আপনি ঘরে বসেই এক মুহূর্তের মধ্যে লোন পেয়ে যাবেন। কিন্তু এজন্য আপনাকে দীর্ঘদিন বিকাশ অ্যাপে লেনদেন করতে হবে।
বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে সিটি ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনার বিকাশ অ্যাপ ওপেন করতে হবে। তারপর আপনার সামনে বিকাশ অ্যাপের ফিচার চলে আসবে। উপরের ছবিতে আপনি বেশ কয়েকটি অপশন দেখতে পাচ্ছেন। আপনাকে loan অপশন খুঁজে বের করতে হবে।
loan অপশন খুঁজে বের করার পর, আপনাকে লোন অপশনে ক্লিক করতে হবে। এখন আপনি যদি লোন পাওয়ার যোগ্য হন, তাহলে আপনাকে অন্য একটি মেনুতে নিয়ে যাবে। আর যদি আপনি ঋণ পাওয়ার অযোগ্য হয়ে থাকেন, তাহলে আপনাকে কোন অপশনে নিয়ে যাবে না।
বিকাশ থেকে আপনি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা লোন নিতে পারবেন। আপনার লেনদেনের উপরে নির্ভর করবে আপনি কত টাকা লোন পাবেন। আপনি যদি বিকাশ অ্যাপ দিয়ে বেশি টাকা লেনদেন করে থাকেন, তাহলে আপনাকে বেশি টাকা লোন দেয়া হবে।
আর যদি অল্প পরিমাণ লেনদেন করে থাকেন, তাহলে সর্বনিম্ন টাকা লোন দেয়া হবে। আবার আপনি যদি নতুন বিকাশ একাউন্ট খোলা থাকেন, তাহলে আপনি কোন লোন পাবেন না। বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার জন্য আপনার লেনদেনের ইতিহাস অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে কিছু কথা
অনলাইন লোন বাংলাদেশ এখনো চালু করা হয়নি। কিন্তু আপনি চাইলে বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে অনলাইন থেকে লোন নিতে পারেন। বিকাশ অ্যাপ থেকে লোন একদম সহজ। কিন্তু সকল গ্রাহক বিকাশ একাউন্ট থেকে লোন নিতে পারবে না। যারা বিকাশ অ্যাপ এ বেশি বেশি টাকা লেনদেন করে, তাদের জন্য বিকাশ পাওয়া একদম সহজ।
তাই আপনি বিকাশ অ্যাপ এর মাধ্যমে বেশি বেশি টাকা লেনদেন করেন। তাহলে খুব অল্পদিনে বিকাশ অ্যাপ থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারবেন। এই ছিল আজকে অনলাইন লোন বাংলাদেশ নেওয়ার নিয়ম। আমাদের আজকের পর্ব কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।